রবিবার, ২০ মার্চ, ২০১৬

Narod - narod - where is the movement?

বলি হচ্ছেটা কি ?!!
ভোটের মাত্র কয়েকদিন বাকি । আর তার আগে হাতে গরম এতো বড় একটা ইসু পেয়েও বাম আর কংগ্রেস সেভাবে তৃণমূল এর বিরুদ্ধে কোনো বড় আন্দোলন দানা বেধে ওঠাতে পারছে না!   নারদ স্টিং প্রায়  দু সপ্তাহ হলো সকলের সামনে এসেছে। কিছু খুচরো মিছিল আর পার্লামেন্ট এ সেলিম এর সওয়াল ছাড়া সেরকম কোনো বড় আন্দোলন ই এই কদিন এ হলো না!!
ভাবুন তো, বিরোধী দলের হেভিওয়েট  নেতারা ঘুষের টাকা নিচ্ছে, এত সোরগোল ফেলে দেওয়া ফুটেজ যদি মমতা দেবীর হাতে আসত তাহলে কি ঘটত ? এতদিনে  উনি রাজ্য তো আন্দোলন আন্দোলন  এ জেরবার করে দিয়ে অচল করে দিতেন ই, পারলে ইসু কে হাইপ  করতে করতে ইউনাইটেড নেশন এ নিয়ে যেতেন। আর তার পাশে বাম নেতা দের দেখুন! আজ এক মাস ধরে শুধু জোটের সিট সমাধান এই ব্যস্ত।..কোনো প্রপার আন্দোলন নেই এই স্টিং কে ঘিরে।
কিছু সিনিয়র নেতা নাহয় আলিমুদ্দিন এ জোট এর জট কাটাতে ব্যস্ত, কিন্তু বাকি মেজ সেজ নেতারা কি করছেন? সন্ধ্যাবেলায় ফুলবাবুটি সেজে চ্যানেল এ চ্যানেল এ না ঘুরে তারা রাস্তায় নামুন এখুনি। ...আর ফেসবুক সর্বস্ব প্রচার ছেড়ে জুনিয়র নেতারা এখুনি ইয়ং ব্রিগেড নিয়ে বড় প্রচার শুরু করুন।  লোহা গরম থাকতে থাকতেই যতটা পারা সম্ভব আঘাত হানতে হবে যাতে ' ভোটের আগে নারদ হুল , ছ্ত্ত্রাকার  তৃণমূল ' স্লোগান টি বৈধতা পায়..এই মুহুর্তে  আগামী কয়েকদিন এর মধ্যে কয়েকটি কাজ করা অত্যন্ত জরুরি:

১. রাজ্জ্জ্যসভায় প্রবল  আন্দোলন শুরু করতে হবে বাম ও কংগ্রেস  কে যাতে লোকসভা এর মতন বিষয়টি এথিক্স কমিটি তদন্তের জন্য গ্রহণ করতে বাধ্য হয়।  সীতারাম ইয়েচুরি, ঋতব্রত, কংগ্রেস এর প্রদীপ ভট্টাচার্য   কেই মুখ্খ্য দায়িত্ব নিতে হবে.  মূলত ভিডিও টি  যে ১০০ শতাংশ খাঁটি , তা ভোটের আগে প্রমান করাটাই সবচেয়ে জরুরি।  মুকুল রায় কে খুব চাপে রাখা দরকার কারণ সবাই জানে তৃণমূল এর এই রত্নটি মূলত: ভোট মেশিনারি  দেখেন। উনাকে অকেজো করা আগে দরকার।

২. চিফ ইলেকশন কমিশন এর কাছে জোট  এর প্রতিনিধি দল এর যাওয়া উচিত এই দাবি নিয়ে যে - এখুনি স্টিং এর ভিডিও এনালাইসিস করা হোক এক সপ্তাহ এর মধ্যে সেন্ট্রাল ল্যাব থেকে। ওই ভিডিও এর সত্যতা (যা বেশিরভাগ মানুষ ই  সম্পূর্ণ নিশ্চিন্ত), তাতেই লুকিয়ে আছে এই নির্বাচন এ জোট এর সাফল্যের প্রাণভোমরা। মমতা আপ্রাণ চেষ্টা করবে  যাতে ভিডিও এর রিপোর্ট ভোটের পর আসে ও সে বেচে যায়।  সেটা কিছুতেই হতে দেওয়া যাবে না  - দুধ কা দুধ আর পানি কা পানি ক্লিআর করে দিয়ে সব জল্পনার অবসান ঘটানো দরকার যাতে সাধারণ মানুষের মনে কোনো দ্বিধা বা দ্বন্দ না থাকে। জায়দী এর কাছে লাগাতার ফলো আপ দরকার।

৩. বিশাল বড় জমায়েত করে কর্পোরেশন এ মেয়র অফিস এর সামনে  জোট পন্থীদের অনির্দিষ্টকালীন ধর্না শুরু করা উচিত। সুভাষ চন্দ্র বসু  বা দেশবন্ধু  চিত্তরঞ্জন এর মতন মানুষ যে মেয়র এর চেয়ার এ বসেছেন, সেই চেয়ার কলঙ্কিত করার দায়ে মেয়র  শোভন বাবু কে এখ্খুনি পদত্যাগ করতে হবে। কিছু ছোট ছোট ধর্ণা আন্দোলন এ কোনো প্রভাব পরবে  না মানুষের মনে, চাই দীর্ঘস্হায়ী কর্পোরেশন ঘেরাও ও জমায়েত।

৪. বিশাল জনসমুদ্রের আকারে মিছিল বার করা উচিত কলকাতা জুড়ে - তৃণমূল নেতাদের গ্রেপ্তার এর দাবিতে। এটা হওয়া উচিত সিপিএম কংগ্রেস অন্য জোট পন্থী দল, 'আক্রান্ত আমরা' , বিশিষ্টজন - সবাই কে নিয়ে - লিড করবেন সূর্য্য বাবু  যাতে মানুষের কাছে স্পষ্ট বার্তা যায় কে ভাবি মুখ্খ্যমন্ত্রী। মিছিলে দরকার - মিরাতুন নাহার, মীরা পান্ডে , অশোক গাঙ্গুলী, কৌশিক সেন ইত্যাদি দের - মিছিলের ধরন হওয়া উচিত নন্দীগ্রাম পরবর্তী কলকাতা- কাঁপানো মিছিলের মতন  আর সেই মিছিলের রেশ ধরে জেলায় জেলায় মিছিল শুরু করা ব্যাপক আকারে। কোথায় সেই স্লোগান - ' গলি গলি মে শোর হায় ..'?

৫. কলকাতায় সিপিএম  ও কংগ্রেস এর বড় নেতারা রাজ ভবনে গিয়ে গভর্নর এর সাথে দেখা করে প্রতিবাদ জানানো ও তাই নিয়ে রাজ্য অচল করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে আসা.. আর রাজভবনের গেট এ দাড়িয়ে সূর্য্য ও অধীর বাবুর মিডিয়া বাইট দেওয়া দরকার মমতা ও তৃনমূল কে বৃহত্তর অন্দোল এর হুশিয়ারী দিয়ে

আগামী  দশ দিন এর মধ্যে যদি বাম ও কংগ্রেস এই কাজ গুলো না করতে পারে তাহলে ১৮০ টা সিট নিয়ে মমতা হাসতে হাসতে বেরিয়ে যাবে আর  জোট এর হাতে পরে থাকবে পেন্সিল। পথ ই পথ দেখায়।..পথে নামুন। আলিমুদ্দিন এর বড় , মেজ বা সেজ নেতারা কি শুনছেন? 

২টি মন্তব্য: